ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় মামলায় জড়ানো হলো মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে!

Chakaria Pic (Pekua) 08-06-2017কাঁটাল গাছের উপর মাচা তৈরী করে সেখানে সারাদিন ঘুমিয়ে বা চেচামেছি করে সময় পার করেন নেজাম উদ্দিন।

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

নেজাম উদ্দিন। বয়স ২২ এর কাছাকাছি। পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিনের পূর্ব সোনাইছড়ি রমিজ পাড়া গ্রামের কাছিম আলীর পুত্র। ৪-৫ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল)। সঠিকভাবে বাড়ী ঘরের ঠিকানাসহ কথাবার্তা বলতে পারেনা। শরীরের কাপড় ছোপড়ও পরেনা। কাঁটাল গাছের উপর মাচা তৈরী করে সেখানে সারাদিন ঘুমিয়ে বা চেচামেছি করে সময় পার করেন।

কিš‘ মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগল) সহ তার পরিবারের নিরীহ ৩ সদস্যের বিরুদ্ধে চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ৪জুন কথিত একটি ঘটনা সাঁজিয়ে মামলা দায়ের করেন প্রতিবেশী মৃত বাচা মিয়ার পুত্র জামাল হোসেন। যার মামলা নং সিআর ৭৪৩/১৭ইং।

মামলায় আসামী করা হয়েছে, মানসিক ভারসাম্যহীন (পাগলের) বড় ভাই আসহাব উদ্দিন ও লাতু মিয়ার স্ত্রী জয়দা বেগমকে। মামলার আর্জিতে বাদী জামাল হোসেন দাবী করেছেন, ৩১ মে সকালে বসতবাড়ির ঘেরাবেড়া মেরামতের কাজ করছিলেন। এসময় নেজাম উদ্দিনসহ অপরাপর বিবাদীরা তার উপর হামলা করে।

¯’ানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩১ মে ওই গ্রামের জামাল হোসেনের সাথে মানসিক ভারসাম্যহীন পাগল নেজাম উদ্দিনের পরিবারের কোন মারামারির ঘটনা সংগঠিত হয়নি। উল্টো দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন নেজামের পরিবারের বসতভিটা দখলের জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছে জামাল হোসেন।

এরই জের ধরে জামাল হোসেন আদালতে মানসিক ভারসাম্যহীন নেজাম উদ্দিনসহ তার পরিবারের লোকজনকে আসামী করে এ মামলাটি করেছেন বলে দাবি করেন এলাকাবাসি।

এ অবস্থায় মানসিক ভারসাম্যহীন নেজাম উদ্দিনসহ তার পরিবারের সদস্যরা প্রশাসনের কাছে বিষয়টি নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তপুর্বক হয়রানি থেকে রক্ষা করতে হ¯’ক্ষেপ চেয়েছেন। #

পাঠকের মতামত: